নিজস্ব প্রতিবেদক : চলমান এসএসি পরীক্ষার গণিতের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণ হলে ওই পরীক্ষা বাতিল করা হবে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন একথা।
সোমবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, একসময় বিজি প্রেস ছিল প্রশ্নপত্র ফাঁসের বড় উৎস। সেখানকার সমস্যা সরকার সমাধান করেছে। নতুন করে শোনা যাচ্ছে, পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পৌঁছানোর পর কোনো কোনো শিক্ষক নাকি মোবাইল ফোনে ছবি তুলে বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এই অভিযোগ ওঠার পর ছবি তোলা যায় এমন ফোন কেন্দ্রে নেয়াও নিষিদ্ধ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, পরীক্ষা নির্দিষ্ট সময়ে শুরু করতে হলে অন্তত ঘন্টাখানেক আগে প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে পাঠাতে হয়। আর মফস্বল এলাকায় একটু আগে প্রশ্নপত্র না পাঠালে সমস্যা হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। কিন্তু শিক্ষকরা যদি এ ধরণের কাজ শুরু করেন, তাহলে তো নিন্দা জানানোরও ভাষা থাকে না। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে জোরালো তদন্ত চলছে। কেউ ধরা পড়লে তার জন্য কঠোর শাস্তি অপেক্ষা করছে।
রোববার অভিযোগ ওঠে, এদিন অনুষ্ঠিত ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের গণিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। শনিবার রাতে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব প্রশ্ন পাওয়া গিয়েছিল, সেগুলোর সঙ্গে পরীক্ষার মূল প্রশ্নের মিল পাওয়া গেছে। তবে তা অস্বীকার করেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার। তিনি বলেন, ফেসবুকে যে প্রশ্ন ছাড়া হয়েছে, সেগুলো তাদের হাতেও এসেছে। সে সব তারা মিলিয়ে দেখে মূল প্রশ্নের সঙ্গে কোন মিল খুঁজে পাননি।
তবে রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় ফাঁস হওয়া যে প্রশ্নপত্র তারা পেয়েছেন, তা মূল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মিলে গেছে বলে স্বীকার করেন তপন কুমার। তিনি দাবি করেন, এটা পরীক্ষার আগে আগে কোনো কেন্দ্র থেকে হয়ে থাকতে পারে। আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সেসব চক্র ধরাও পড়েছে। এবারও তাদের ধরার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
কয়েকদিন আগে এসএসসির বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তখনও কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করেছেন। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে এসএসসি, জেএসসিসহ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল।