নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের নেটওয়ার্ক নিয়ে সমালোচনার অন্ত নেই। অন্য অপারেটররা যেখানে গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে গেছে, সেখানে উপজেলা পর্যায়েও পৌঁছাতে পারছে না টেলিটক। কেন থমকে আছে রাষ্ট্রীয় এই টেলিকম অপারেটরের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ? এ বিষয়ে এবার খোলাখুলি কথা বললেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
অর্থ মন্ত্রণালয়ে বার বার ধরণা দিয়েও টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের টাকা ছাড় করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন তারানা হালিম। এমনকী প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনও (নির্দেশনা) মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। সচিবালয়ে টেলিটকের একটি প্যাকেজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, দেড় বছর আগে ‘টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, ফেস টু’ নামে একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) পাস হয়েছে। পাঁচ মাস আগে আরো একটি প্রকল্প পাস হয়। সব মিলিয়ে ৬১০ কোটি টাকার দুটি প্রকল্প পাস করেছে একনেক। কিন্তু এখনো এই প্রকল্পের অর্থ ছাড় করা হচ্ছে না। আমলাতান্ত্রিক নানা জটিলতায় আটকে আছে অর্থছাড়ের বিষয়টি।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সাথে নিজে কয়েকবার দেখা করেও টেলিটকের জন্য অর্থ ছাড় করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানান তারানা হালিম। তবে কি অন্য মোবাইল অপারেটররা একজোট হয়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ আটকে দিচ্ছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এ ধরনের আশঙ্কাকে উড়িয়ে না দিয়ে এ বিষয়ে বেশি কথা বলা উচিত হবে না বলে জানান তারানা হালিম।
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, সবাই টেলিটকের উন্নয়ন চায়। অথচ টাকার কারণে আটকে আছে উন্নয়ন। শক্তিশালী অপারেটরগুলোর বিপরীতে সেবার মান বাড়াতে হলে বিনিয়োগের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ‘আপনি দৌঁড়াতে থাকবেন অথচ ভিটামিন দেবে না। তাহলে আপনাকে এমনিতেই দুর্বল হয়ে পড়ে যেতে হবে।’
দেশাত্মবোধ থেকে টেলিটকের উন্নয়নে কাজ করে যাবেন বলে জানান তারানা হালিম। বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে টেলিটকের নেটওয়ার্ক যাতে উপজেলা পর্যন্ত পৌঁছানো যায়, সেই ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব অর্থায়নে একটি প্রকল্পের অধীনে এই উন্নয়ন হবে বলে তিনি জানান। এছাড়া দেশের প্রধান মহাসড়কগুলোতে নেটওয়ার্ক উন্নয়নের কাজ আগামী বছরের মাঝামাঝি সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদী তারানা হালিম।