নিজস্ব প্রতিবেদক : উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের মাত্রা বাড়ছিল। সংশয় বাড়ছিল যুক্তরাষ্ট্র আর দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আসন্ন বৈঠক নিয়েও। পারমাণবিক অস্ত্র থেকে সরে আসতে উত্তর কোরিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপ বাড়ছিল। এরই মধ্যে উত্তর কোরিয়া বাছাই করা সাংবাদিকদের ডেকে একমাত্র পারমাণবিক পরীক্ষাকেন্দ্রের সুড়ঙ্গ ধ্বংস করার চাক্ষুষ প্রমাণ দিয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) বিবিসি অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
তবে উত্তর কোরিয়ার এ উদ্যোগ নিয়ে কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। দেশটির নেতা কিম জং-উন সত্যিই এ কাজ করেছেন কি না, সন্দেহ তাদের। এই সন্দেহবাদীদের মত, এই সুড়ঙ্গ আসলে আগেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার একমাত্র পারমাণবিক স্থাপনাটি পাংগে-রিতে অবস্থিত। এ স্থাপনার সুড়ঙ্গগুলো স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া ছবিতেও দৃশ্যমান হয়। আঞ্চলিক উত্তেজনা কমাতেই উত্তর কোরিয়া এই সুড়ঙ্গগুলো ধ্বংস করেছে। বিভিন্ন দেশ থেকে বাছাই করা ২০ জন সাংবাদিক এ সুড়ঙ্গ ধ্বংসের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন।
বিবিসি জানিয়েছে, দুটি পৃথক বিস্ফোরণে সুড়ঙ্গ ধ্বংস করা হয়েছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্কাই নিউজের সাংবাদিক টম চেশায়ার। তার ভাষ্য, সুড়ঙ্গগুলো সক্রিয় ছিল এবং সবখানে তার জড়ানো ছিল। তারা পাহাড়ে উঠে ৫০০ মিটার দূর থেকে বিস্ফোরণ দৃশ্য দেখেছেন। তিন থেকে নিচের দিকে কাউন্টডাউন হয়। বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হওয়ার পর ধুলা, ধোঁয়া ও তাপ অনুভূত হয়েছে।
ওই পারমাণবিক স্থাপনায় ২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ছয়বার পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এর আগে এ বছরের শুরুতে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এ পারমাণবিক স্থাপনা ভেঙে ফেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পিয়ংইয়ং।
অবশ্য উত্তর কোরিয়ার এ উদ্যোগে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করেন, ২০১৭ সালে পারমাণবিক পরীক্ষার সময় এ স্থাপনাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। দেশটির পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত ওই স্থাপনা ধ্বংসের সময় কোনো নিরপেক্ষ পরিদর্শককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছে এই পক্ষটি।